ডিজিটাল সরকারের বিদ্যুত কোথায় গেলো?
প্রবাসীর কথা ডেস্ক: জতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই কালো টাকা ও বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম নৌকাকে ডুবাতে হাত পাখার প্রার্থীকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তারা ধর্ম ব্যাবহার করে ভোট চাইছে। এসব বিষয় তদন্ত করার কোন লক্ষন দেখছিনা। প্রতিদিনই নিজেরা নিজেদের মধ্যে রক্তাক্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটার আগে সেনাবাহিনী নামানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আমরা প্রথমেই এই দাবি করেছিলাম। আমাদের আশংকা এখন বাস্তবে রুপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী প্রতি মুহূর্তে নির্বচনী আচারণ লংঘন করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক নির্বাচনী অফিস করেছে, অনেক সরকারি জায়গায় অফিস করেছে তারা। কিন্তু এ বিষয় রিটার্নিং কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। আমরা রাত ৮ টার মধ্যে মাইকিং শেষ করছি কিন্তু তারা অধিক পরিমাণে মাইক ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশনে যাচ্ছেনা বরং বিকাল ৫ টার সময় উচ্চস্বরে মাইকিং করার অভিযোগে জরিমানা করছে। প্রশাসন একচোখা নীতি অনুসরণ করছেন। আমরা কোন অন্যায় আর সহ্য করবো না।
৬ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার সকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, ফলপট্রি, গীর্জামহল্লাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ৩০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছি। আমার ঘোষণা পরিপূর্ণভাবে পালন করবো। আমি নিজে চুরি করবো না কাউকে চুরি করতে দেবনা।
তিনি সিটি কর্পোরেশন এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা সততার সাথে কাজ করুন, যাদেরকে অবৈধ ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্যি না হলে আপনারা আবার চাকুরী ফিরে পাবেন। দূর্নীতিবাজরা সাবধান হয়ে যাবেন আমি নগরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে দূর্নীতিমুক্ত নগরভবন ঘোষণা দিব। বরিশালে কোন সিন্ডিকেট, কমিশন বানিজ্য থাকবেনা। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করুন আমি প্রয়াত হিরন ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো এবং আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন কাজ শুরু করবো।
তিনি আরও বলেন, ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে, নতুন নতুন কলকারখানা এনে বেকারত্ব দূর করবো। নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হারিকেন ও মমবাতির দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। ডিজিটাল সরকারের বিদ্যুত গেলো কোথায়? জনগণ জানতে চায়। ভোট চাওয়ার আগে কারেন্ট দিন, লুটপাট বন্ধ করুন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করুন। জিনিসপত্রের দাম লাগামের মধ্যে আনুন। পিয়াজের ঝাঁজে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, এস রহমান পারভেজ, নজরুল ইসলাম খান, রফিকুল ইসলাম গফুর, নজরুল ইসলাম হেমায়েত, অধ্যাপক গিয়াস, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।