Dhaka , Monday, 20 May 2024

জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : 01:25:49 am, Monday, 6 May 2024
  • 30 বার

স্পোর্টস ডেস্ক : দেড়শ রানের চেয়েও কম তাড়া করতে গিয়ে বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিংটা আপ টু দ্য মার্ক হয়নি। তবে শেষদিকে তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটির কল্যাণে এ যাত্রায় জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল।

জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৭ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়।

১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার মিলে যোগ করেন ৪১ রান। ১৯ বলে ১৮ রান করে তানজিদ তামিম ফেরার পর ব্যাটিংয়ে পতনের শুরু। আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন ২৩ রান করে।

তিনে নেমে শান্তও ইনিংসে বড় করতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৬ রান। পাঁচে নেমে ব্যর্থ জাকের আলি। একটি ছক্কা মারলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১২ বলে করেছেন ১৩ রান। তাতে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় দল।

তবে এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছেন। হৃদয় করেছেন ৩৭ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিয়ানশে মারুমানি। কিন্তু ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। য়ারেক ওপেনার গাম্বিও সুবিধা করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১৭ রান।

গত ম্যাচের মতোই এবারও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৩ রান। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ৮ বলে করেছেন ৩ রান। এরপর উইকেটে এসে ডাক খেয়েছেন ক্লাইভ মানদান্দে। তাতে ৪২ রানেই টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তুলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। আর বেনেট অপরাজিত থেকেছেন ২৯ বলে ৫৪ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে যারাই বল হাতে নিয়েছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। রিশাদ হোসেনও পেয়েছেন ২ উইকেট। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : 01:25:49 am, Monday, 6 May 2024

স্পোর্টস ডেস্ক : দেড়শ রানের চেয়েও কম তাড়া করতে গিয়ে বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিংটা আপ টু দ্য মার্ক হয়নি। তবে শেষদিকে তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটির কল্যাণে এ যাত্রায় জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল।

জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৭ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়।

১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে দুই ওপেনার মিলে যোগ করেন ৪১ রান। ১৯ বলে ১৮ রান করে তানজিদ তামিম ফেরার পর ব্যাটিংয়ে পতনের শুরু। আরেক ওপেনার লিটন দাস ফেরেন ২৩ রান করে।

তিনে নেমে শান্তও ইনিংসে বড় করতে পারেননি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৬ রান। পাঁচে নেমে ব্যর্থ জাকের আলি। একটি ছক্কা মারলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১২ বলে করেছেন ১৩ রান। তাতে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় দল।

তবে এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছেন। হৃদয় করেছেন ৩৭ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিয়ানশে মারুমানি। কিন্তু ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। য়ারেক ওপেনার গাম্বিও সুবিধা করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১৭ রান।

গত ম্যাচের মতোই এবারও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৩ রান। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ৮ বলে করেছেন ৩ রান। এরপর উইকেটে এসে ডাক খেয়েছেন ক্লাইভ মানদান্দে। তাতে ৪২ রানেই টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তুলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। আর বেনেট অপরাজিত থেকেছেন ২৯ বলে ৫৪ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে যারাই বল হাতে নিয়েছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। রিশাদ হোসেনও পেয়েছেন ২ উইকেট। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদি।