প্রবাস ডেস্ক: চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী বিভিন্ন দেশের ১১ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত সরকার। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এটি কুয়েতের সরকারের বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। জনসংখ্যায় সামঞ্জস্য আনার পাশাপাশি আবাসিক ও কর্মসংস্থান আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলো এই পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্য।
প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ তালাল আল-খালেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার আল-বারজাস কর্তৃপক্ষকে কুয়েতের সর্বত্র নজরদারি ও আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির সব অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আবাসিক আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এসব আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে। যেখানে সেখানে কর্মসংস্থান নিষিদ্ধ করবে এবং যারা ভিসা লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় দেয় তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতির জন্য কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান প্রবাসীদের সতর্ক করেছেন। কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক অভিযান চলায় প্রবাসীদের কুয়েতের সিভিল আইডি ও বৈধ কাগজপত্র তাদের সঙ্গে রাখার অনুরোধও করেন তিনি।