Dhaka , Wednesday, 17 April 2024

এক নির্ভীক করোনা যোদ্ধার গল্প!!

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : 12:05:50 pm, Sunday, 21 June 2020
  • 599 বার

মোহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন, বয়স পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব, এম টি ইপিআই সদর উপজেলা বাগেরহাট। বাগেরহাট সদর উপজেলায় ইতিমধ্যে অনেক সন্দেহজনক করোনা রুগির পরীক্ষা করা হয়েছে, এই পরীক্ষার প্রথম ধাপ হলো স্যাম্পল কালেক্ট করা, এবং সেই কাজটি নির্ভয়ে হাসিমুখে সম্পন্ন করেছেন তিনি এবং করে চলেছেন। গতকাল রাত দশটায় যাত্রাপুরে সে ও তার টিম করোনা রুগির বাড়ি থেকে স্যাম্পল কালেক্ট করেছে। তার কাজের গতি দেখে আমি মাঝে মাঝে নিজেও আশ্চর্য হই। প্রতিটি কাজ তিনি সুন্দরভাবে গুছিয়ে করেন। বয়সের ভার এবং আধুনিক স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ না থাকা একটি মানুষ নির্ভয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমি বুঝি কর্মকর্তা হিসেবে মাঝে মাঝে তার উপর অনেক দায়িত্ব দিতে হয়, হয়তো তার কাজের চাপ বেড়ে যায় কিন্তু কখনও না বলেন না, হাসিমুখে বলেন “স্যার ও দেখবানে” আমি বুঝি যাক নিশ্চিন্ত হলাম। হয়তো এমন ছরোয়ার প্রতিটি উপজেলায় আছেন কিন্তু সাধারণ মানুষ এদের গল্প জানেনা, খুব অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল এমনও না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ কৃতজ্ঞ,, প্রনোদনার বিষয়টি এদের জন্য খুব জরুরী, হয়তো সামাজিক স্বীকৃতিও! বাগেরহাট সদর উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশের টিকা দানের মত আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত একটি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে এম টি ইপি আই দের নিরলস পরিশ্রমের কারণে। করোনার এই সঙ্কটময় সময়েও তারা নিরলস পরিশ্রম করছে তাই আমাদের সকলের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা, তাদেরকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া আর আমি সেটা চেষ্টা করি। ছরোয়ার সাহেবের এই কাজে সামনেথেকে যে কাজ করেন তার নাম মিজান, তার গল্প না হয় আরেকদিন বলবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

এক নির্ভীক করোনা যোদ্ধার গল্প!!

আপডেট টাইম : 12:05:50 pm, Sunday, 21 June 2020

মোহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন, বয়স পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব, এম টি ইপিআই সদর উপজেলা বাগেরহাট। বাগেরহাট সদর উপজেলায় ইতিমধ্যে অনেক সন্দেহজনক করোনা রুগির পরীক্ষা করা হয়েছে, এই পরীক্ষার প্রথম ধাপ হলো স্যাম্পল কালেক্ট করা, এবং সেই কাজটি নির্ভয়ে হাসিমুখে সম্পন্ন করেছেন তিনি এবং করে চলেছেন। গতকাল রাত দশটায় যাত্রাপুরে সে ও তার টিম করোনা রুগির বাড়ি থেকে স্যাম্পল কালেক্ট করেছে। তার কাজের গতি দেখে আমি মাঝে মাঝে নিজেও আশ্চর্য হই। প্রতিটি কাজ তিনি সুন্দরভাবে গুছিয়ে করেন। বয়সের ভার এবং আধুনিক স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ না থাকা একটি মানুষ নির্ভয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমি বুঝি কর্মকর্তা হিসেবে মাঝে মাঝে তার উপর অনেক দায়িত্ব দিতে হয়, হয়তো তার কাজের চাপ বেড়ে যায় কিন্তু কখনও না বলেন না, হাসিমুখে বলেন “স্যার ও দেখবানে” আমি বুঝি যাক নিশ্চিন্ত হলাম। হয়তো এমন ছরোয়ার প্রতিটি উপজেলায় আছেন কিন্তু সাধারণ মানুষ এদের গল্প জানেনা, খুব অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল এমনও না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ কৃতজ্ঞ,, প্রনোদনার বিষয়টি এদের জন্য খুব জরুরী, হয়তো সামাজিক স্বীকৃতিও! বাগেরহাট সদর উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশের টিকা দানের মত আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত একটি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে এম টি ইপি আই দের নিরলস পরিশ্রমের কারণে। করোনার এই সঙ্কটময় সময়েও তারা নিরলস পরিশ্রম করছে তাই আমাদের সকলের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা, তাদেরকে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া আর আমি সেটা চেষ্টা করি। ছরোয়ার সাহেবের এই কাজে সামনেথেকে যে কাজ করেন তার নাম মিজান, তার গল্প না হয় আরেকদিন বলবো।